“Suffa”(Study)

‘Tigard the Golden Age & Rise Truth ‘n Grace ♥ : Share u’r Idea’s

Be-Clouds
রাব্বানা লা তুয়াখিজনা ইন্নাসীনা আও আখতা'না- 'হে আমাদের মালিক, যদি আমরা কোথাও কিছু ভূলে গিয়ে থাকি কিমবা কোথাও যদি আমরা কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি করে বসি - তুমি তার কোনটার জন্যই আমাদের পাকড়াও করো না। আমাদের তুমি শাস্তি দিও না। - আমীন।

Rabbana la tuakhijna innasina ao akhta’na- ‘O our Lord, if we have forgotten something somewhere or if we have made a mistake somewhere – do not hold us accountable for any of it. Don’t punish us. – Amen.

Rahmatullil Alamin

inSignia: স্বাক্ষরতা কি শিক্ষা? শুধুই কি লিখতে পড়তে সই করতে পারা? আর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা! ♧ ই’লম(পরিপূর্ণ উপকারী জ্ঞান/বিদ্যা) হল আলোকিত এক শিক্ষক ও শিক্ষা যা মন+দৈহিক, আত্মিক+জৈবিক (কলব+নফস) সৌন্দর্যের শুদ্ধ সিদ্ধান্ত প্রকাশ পায়। ফুসফুস নির্গত বাতাসের শব্দ শৈলীতে ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রদর্শনীতে। ডোপামিন ও জৈব-রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ও পদার্থের মিথস্ক্রিয়ার সুন্দর আংকে। আত্মার মানবতা শেষ রাসুল এর শিক্ষা দীক্ষায় প্রতিবিম্বিত আলোর শিক্ষা। *একমাত্র মুক্তির সোপান। ° যুগে যুগে মানুষ বিভিন্ন ফন(টেকনোলজি) ও ব্যবহারিক শিক্ষা যেমন: বাতাস, পানি নিয়ন্ত্রণ অথবা কৃষির উদ্ভাবন, পুর ও যান্ত্রিক কৌশলের, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা অটোমোশন, উর্ধাকাশে দৃষ্টি সীমার কিছু উপরে উঠে, আর না দেখা কিছু জেনে; যা পূর্বেই বর্তমান ছিল # পরিবেশ গঠনের হাতিয়ার হিসাবে আদি পিতা আদম ও আদি মাতা হাওয়ার বসতি আর বংশগতি রক্ষার প্রয়োজনে, @ মানব উন্নয়ন ছেড়ে বস্তুগত উৎকর্ষতার জৌলুসে উন্নতির চরমে উঠেছে ভেবে(প্ররোচিত বিশ্বাস) যে শোষন(অন্যায়) নির্যাতন(অবিচার), অবিশ্বাস এর প্রভূত্ব(তথাকথিত সভ্যতা) কায়েম করেছে; ইতিহাস যার সাক্ষ্যদাতা। মানব শিশুর অবমাননা, অবমূল্যায়নের সুচনা। ● সেই সময়ের দাবিতে সেই সব যুগে ক্রান্তিবীর, মুক্তিযোদ্ধা আদিপিতা আদম(আ) হতে ধারাবাহিক ভাবে কালের পরিক্রমায় সময়ের দাবীর প্রেক্ষিতে পরিনত ও পূর্ণতা প্রাপ্ত হয় আর নবী ও কিতাব আসার প্রয়োজনীয়তাটুকুও শেষ হয় মুহাম্মদ(দ) এর শরিয়তে। ■ প্রথম নবী আদম(আ), নুহ(আ), সুলাইমান(আ), ইবরাহিম(আ), মুসা(আ), ঈসা(আ) শেষ নবী মুহাম্মদ(স) পর্যন্ত এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী ও রাসুল মনুষ্যত্বের নিমজ্জন এর ক্রান্তিলগ্নের ধারাবাহিকতায় সেই একই আলোর পথ দেখান। ☆ কুসংস্কার থেকে প্রগতির দিকে, অবিশ্বাস থেকে বিশ্বাসের দিকে, অজ্ঞানতা থেকে বিজ্ঞানের দিকে, অন্যায় থেকে ইনসাফের(মর্মিতা) দিকে, লাঞ্ছণা(দাসত্ব) থেকে মর্যাদায়, আত্মহারা থেকে পরিচয়ে – সাম্যতার বন্ধনে আমি মুসলিম (হেঁট মুন্ডু নই; চির উন্নত মম শীর), শোষন থেকে দানশীলতার দিকে, সর্বগ্রাসী সৃষ্টির গোলামীর শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জনে। 💚 সত্যিকারের স্বাধীনতা।

inSignia: What does Signia teach?  Can only read and write?  And knowledge and wisdom!  ♧ I’lam (perfect useful knowledge/vidya) is an enlightened teacher and teaching that reveals the pure determination of mind+physical, spiritual+biological (kalb+nafs) beauty.  Lung exhalation sounds in style and organ presentation.  Dopamine and biochemical reactions and beautiful numbers of substance interactions.  The humanity of the soul is the teaching of light reflected in the teachings of the last Prophet.  *The only way out.  ° Through the ages, humans have developed various forms of technology and practical learning, such as wind, water control or agricultural inventions, flood and mechanical engineering, artificial intelligence or automation, rising above the horizon, and knowing something unseen that was already present as a tool to shape the environment.  As the original father Adam and the original mother Eve, due to the need to protect the settlement and heredity, @ has left human development and reached the peak of improvement in the pursuit of material excellence, thinking(Fric faith) that exploitation (injustice), torture (injustice), the dominance of disbelief (the so-called civilization) has been established by; history as a witness.  Insults in demeaning, underestimating the human child.  ● According to the demand of that time, in those eras, the revolutionary, the freedom fighter the forefather Adam (A) was continuously transformed and fulfilled in view of the demand of the time and the necessity of the coming of the Prophets and the book also ended with the Sharia of Muhammad (D).  ■ First Prophet Adam (a), Nuh (a), Sulaiman (a), Ibrahim (a), Musa (a), Jesus (a) to the last Prophet Muhammad (s) one hundred and twenty four thousand prophets and messengers of the submergence of humanity.  Show that same light in continuity.  ☆ From superstition to progress, from disbelief to faith, from ignorance to science, from injustice to justice, from humiliation (slavery) to dignity, from loss of self to identity (in the bonds of equality I am a Muslim),  From exploitation to benevolence, to liberation from the shackles of slavery to totalitarian creation.  💚 True freedom.

% সুষম নিক্তির কম বা বেশী হলে তা বিক্রিয়া যা ই’লমি পরিভাষায় বিদায়া’ত। ইহা তার ধর্ম প্রকাশ করে না। ♧ আমরা জানি প্রত্যেক পদার্থের ধর্ম আছে। আছে তিন অবস্থা। যেমন আগুন – হিংসা, দ্বেষ, প্রভূত্ব। পানি – খাহেশাত(জৈবিক ক্ষুদা), লোভ-লালসা। বাতাস আহংকার ও ইগো। মাটি পরিবর্তনশীল। 💜 পদার্থ সংশ্লিষ্ট মানব দেহের(নফস) পবিত্রতার জন্য ও তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার খারবি থেকে বাঁচার পথই সুন্নাহ(প্রিভেনশন)। আর তার চিকিৎসা আত্মার রোগ ও তার প্রতিকার(কুরআন)। আদর্শ মনোবিজ্ঞান। ☆ রাসায়নিক ক্রিয়া, বৈদ্যুতিক বিচ্ছুরণ(ইমপালস) আর তরঙ্গের রনন, তন-মন-হৃদুয়-আত্মা-বুদ্ধির সমন্বিত প্রকাশ ত্রুটি: ‘সিজোফ্রেনিক সিনড্রোম’ + পজিটিভ বা হেলুজেনিক। – নেগেটিভ বা অসামাজিক(ইনট্রোভার্ট) স্বার্থপর। কগনিটিভ বা বুদ্ধির গন্ডিবদ্ধতা, ভূলে যাওয়ার প্রবনতা। এভাবেই কম বেশী করে ও তথ্য বিভ্রাট(করাপ্ট ফরম) করে বিভ্রান্ত করেছে স্বার্থসিদ্ধি ও প্রভূত্ব(সম্পদ ও ক্ষমতা কুক্ষিগত) করার জন্যে। মনুষত্ব ভ্রষ্টতার শিকার হয়েছে যুগে যুগে। 💙 ইসলাম(ফিরে আসা মান্যতায় বা শান্তিতে সমর্পণ) নবুয়াতের মাধ্যমে এজ ইট ইজ ভাবে সত্ত্ব ফিরে পেয়েছে। রিপেয়ার ও মেইনটেইন করছে। একমাত্র সভ্যতা বা রেনেসাঁ প্রগতিশীলতার চাবি। অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে আলোর যাত্রা।

If the % is less than or more than the equilibrium value, it is a reaction which is called Bidaya’ in scientific terms.  It does not reveal his religion.  ♧ We know that every substance has religion.  There are three conditions.  Like fire – violence, malice, dominance.  Water – Khaheshat (biological appetite), greed.  Wind is pride and ego.  The soil is variable.  💜 Sunnah (Prevention) is the way to keep the human body (Nafs) clean and avoid its side effects.  And its treatment is the disease of the soul and its cure (Qur’an).  ideal psychology.  ☆ Chemical action, electrical dispersion (impulse) and wave propagation, Body-Mind-Heart-Spirit-Intelligence integrated expression defect: ‘Schizophrenic syndrome’ + positive or hallucinogenic.  – Negative or antisocial (introvert) selfish.  Cognitive impairment, forgetfulness.  In this way, they have misled by making more and less information (corrupt form) for self-interest and dominance (wealth and power).  Humanity has been subject to corruption throughout the ages.  💙 Islam (returning to obedience or surrendering to peace) has regained its existence through Prophethood as it is.  Repairing and maintaining.  Only civilization or renaissance is the key to progress.  A journey of light from the darkness of ignorance.

রেনেসাঁ:

♡ হৃদয়ে বিশ্বাসের প্রাসাদ গড়া ছাড়া সভ্যতার নির্মাণ ও তাকে রক্ষা করা যায় না। ইতিহাসের নীতির নক্সা। ♧ মধ্যম পন্থা সরল আর সহজ। স্বভাবধর্ম(ইসলাম) কুরআনিক বিধি-বিধান ও তার প্রতিফলন সুন্নাহ্। একমাত্র চিকিৎসার নির্দেশনা যা কিনা সর্বাবস্থায় সার্বজনীন। মাটির উপাদান দ্বারা তৈরী মানবজাতির আর আগুনের উপকরণ দ্বারা সৃষ্ট জিন জাতির জন্য প্রযোজ্য। বাকি সব সৃষ্টি তার নিজস্ব স্বভাবধর্মের(ইসলামের) আওতাধীন ও পরিচালিত। সেই অর্থে সব কিছুই মুসলমনের অন্তর্ভুক্ত। অরবিটার রুল তার নিদর্শন। @ সেই মানুষের ও জিনের বৈশিষ্ট্য; তার ইচ্ছাশক্তি আর অত্মার অকুতি(পবিত্রতা)। প্রদেয় শক্তির স্বেচ্ছাচারীতা মুক্ত, বুদ্ধি বিবেকের সুস্থ প্রতিযোগিতা, মনের চাওয়া আর আত্মার আকুতি(পবিত্রতার)। বিশ্বাস ও আস্থায় নিশ্চিন্ত। সব পরিবেশে সব পরিস্থিতিতে সুস্থ্যতায়(টিউনড)। কম্পাঙ্কের নিম্ন স্তর(উদারা) থেকে উচ্চ স্তরে(অতি তারা) নিয়ন্ত্রণাধীন ভাব-আবেগ (ভাইব্রেশন)। এড্রোনালিন নিঃসরন ডোপামিন এর প্রভাব, কিটত্বত্ত এবং জীব রাসায়নিক বৈরিতা হতে মুক্তির উপায়। সমন্বিত মানসিক আবস্থার (মুড/ফ্যাশন/স্টাইল) টানাপোড়েন যেমন: সুখ-দুখে, হাসি-কান্নায়, বিপদ-বিবাদে, দাবি অদায়ে-অমানতে, সুশাসন-ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়, বিষাদ-আনন্দের অতিসজ্জে, হিংসা-শত্রুতা-বিদ্বেষেও তাদের পদস্খলন হবে না। তারা পশু সুলভ আচরনের দাবি করবে না। নিজেদের ধ্বংস উন্মাদনা আর হতাশার পুঞ্জিভূত বাষ্পিয়ভবনে বাহিত রক্ত এবং অশ্রু কল্যান কামিতায় ব্যবহার করবে, পুড়াবে না। ❤️ যেমনটা শেষনবী ও তার দেয় শিক্ষার আলো, সাহাবীগনের এবং তাদের অনুসরণ কারীগন আমাদের নিদর্শন। আমাদের রাসুল (স) সকল মানবজাতির দুঃখ কষ্টকে নিজের মনে করতেন। তাই আহ্বান(দাওয়াত) সত্যের সুন্দর মঙ্গলের। প্রধান সুন্নাত; সকল নবীর। # নিশ্চয়ই মানুষ বিনয় দ্বারা মর্যাদা(জ্ঞান) রক্ষা করবে। * অবশ্যই নজ্জাশীলতা দ্বারা নিশ্চিত করবে তার পবিত্রতা, মুক্তি ও অনাদিকালের স্বাধীনতা। ° পরাজিত ও লাঞ্ছিত হবে অভিশপ্ত অশুভ শক্তি (শয়তান)। আল্লাহ্‌র প্রতিনিধি হিসাবে শ্রেষ্ঠ মানবজাতি, হেরে যেতে পারে!?

Renesas:

♡ Civilization cannot be built and preserved without building a palace of faith in the heart.  Outline of the principles of history.  ♧ The middle approach is simple and easy.  Nature (Islam) Quranic rules and its reflection Sunnah.  The only medical prescription that is universal in all cases.  Applies to mankind made of earthy material and Jinn race made of fire material.  All other creations are governed and guided by their own nature religion (Islam).  In that sense everything belongs to Muslims.  Orbiter rule is its sign.  @ characteristics of those people and genes;  His willpower and akuti (purity) of the soul.  Free from the arbitrariness of paid power, the healthy competition of intellect, the desire of the mind and the longing of the soul (of holiness).  Secure in faith and trust.  Tuned in all conditions in all environments.  Controlled emotions (vibrations) from low levels (moderate) to high levels (super star) of frequency.  Adrenaline release is an effect of dopamine, a means of escape from parasites and biochemical antagonisms.  They will not stumble in the tension of integrated mental states (mood/fashion/style) such as: happiness-sadness, laughter-crying, danger-dispute, non-payment of demands-disobedience, establishment of good governance-justice, exuberance of sadness-joy, violence-enmity-hatred.  They will not demand animal welfare.  In self-destructive frenzy and accumulated evaporation of despair, external blood and tears will be used for charity, not burned.  ❤️ As the last prophet and his light of education the Companions and those who follow them are our signs(lighthouse/star/idol/champ/real hustler).  Our Prophet (PBUH) considered the sufferings of all mankind as his own.  So call (invitation) to the beautiful goodness of truth.  The main sunnah of all the prophets.  # Verily people will protect dignity (knowledge) through modesty.  * Surely through modesty will ensure his purity, liberation and eternal freedom.  ° The cursed evil power (Satan) will be defeated and humiliated.  Can the best mankind lose as God’s representative!?

‘আমি তোমাদের কাছে এমন একটি কিতাব নাযিল করেছি, যাতে ‘তোমাদের কথা’ আছে, অথচ তোমরা চিন্তা-ভাবনা করো না।’ : কুরআন পাক। সুরা আল আম্বিয়া : আয়াত 10.

‘আমার’ কথা কি আছে?

খুঁজলে আবশ্যই পাবো আয়াতে কারিমায় ;

সুরা আল যারিয়াত : 17-19, হা-মীম সিজদাহ : 16, আল ফুরকান : 64, আল ইমরান : 134, আল হাশর : 9, আশ্-শুরা : 37-38, আস সাফফাত : 35-36, আয যুমার : 45, মদ্দাস্সির : 42-46,

“হ্যা এমন ধরনের কিছু লোকও আছে যারা নিজেদের গুনাহ স্বীকার করে। এরা ভালো মন্দ মিশিয়ে কাজ-কর্ম করে – কিছু ভালো, কিছু মন্দ। আশা করা যায় আল্লাহ তা’আলা এদের ক্ষমা করে দেবেন।” “আবশ্যই আল্লাহ তাআলা বড় দয়াল বড়ো ক্ষমাশীল।” : আত তাওবা আয়াত 12.

“আল্লাহর দয়া থেকে তারাই নিরাশ হয় যারা গোমরাহ ও পথভ্রষ্ঠ।” : আল হিজর আয়াত : 10.

☆ আমাদের কথা আরও আছে- আর্বতিত দায় আর দায়িত্ব-

আল হজ্জ : 110, সুরা আরাফ : 176, আল ইমরান : 110, সুরা বাকারা : 30, সুরা যারিয়াত : 56, সুরা বাকারা : 143 .

❤ সুন্নাত বা ফিতরাত (ন্যাচারাল ফেনোমিনা) –

আর রাদ : 15, বনি ইসরাঈল : 44, সুরা হিজর : 29, সুরা বাকারা : 30, মুমিনুন : 53, সুরা ইবরাহিম : 13-14, সুরা ক্বামার : 49, আল ফুরকান : 2, আন নিসা : 19, সুরা বাকারা : 216,

# উপায় উপকরণের ওপর কখনো ফলাফল নির্ভর করে, আবার কখনো করো না। উপকরণ কখনো কার্যকর হয়, আবার কখনো তা ব্যর্থ হয়ে যায়, আর উপায় উপকরণ সবকিছুই আল্লাহ পাকের হাতে।।

সুরা আল তালাক : 10, তাকওয়ীর : 29,

○ উপায় উপকরণ এর ব্যবহার সুন্নাত (যা আদেশ দেওয়া হয়েছে)। বিশ্বাস এর আস্থায়। দ্বিধা-দন্দ্ব ও অন্ধ বিশ্বাস থেকে দুরে(বেঁচে) থাকা।

সুরা বাকারা : 268, সুরা নমল : 62,

♧ এমন এক কিতাব যা, গুনি-জ্ঞানী, পাপী-তাপী, ছোট-বড়, ধনী-নির্ধন সবার কথাই বলে।

♡ সত্যিই অনুপম।।

□ মানুষের (সার্বিকভাবে) জন্মগত স্বভাব (সুন্নাহ যা ফিতরাত) ও তার মৌলিক প্রয়োজনের পরিপন্থী নয় বরং মঙ্গল জনক ও কল্যাণকর ফল বয়ে আনবে নিশ্চিত।

@ ইসলাম কখনো সৃষ্টি জগত ও তার বস্ত সম্ভার আবিষ্কারে বাধা দেয়নি।

% প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্বের সাথে সাথে সৎ যা সরল সোজা পথের দিশারী করেছে, তা পালন এবাদতের অন্তর্ভুক্ত (কয়েকটি শর্তাধীনে) । মনুষ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও বটে।

সুরা বাকারা : 30, সুরা যারিয়াত : 56, সুরা ইমরান : 110,

তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব (উদগম বা বাহির) ঘটানো (করা) হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। -সুরা আল ইমরান আয়াত 110 . □ তোমরা উদ্দেশ্য; আমরা (আমি) যারা আত্তীকরণ (আত্মস্থ) করে নিপুনতা অর্জন করেছেন। প্রাচীনের প্রাজ্ঞতা, অধিকতর আধুনিক দর্শন, বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, প্রকৌশলের যন্ত্র বিদ্যা, তাঁর নিজের ও অন্যান্য সময়ের ইতিহাস, অর্থনীতির মূল শর্তাবলী, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন ও চিন্তাভাবনা ও তার উপলব্ধি এবং চাহিদা অনুযায়ী তার সরবরাহকারী। আর লিন’ নাস এর ব্যাপকতা কেয়ামত পর্যন্ত আনেওয়ালা সমস্ত উম্মত বা শুননেওয়ালা, পাঠক ও প্রত্যাশীদের চাহিদার (সদইচ্ছা) পূরনার্থে নীতিগতভাবে সেগুলোকে জ্ঞাত করা (পৌঁছানো)। * শুধু খবর অর্জনকারী (সংগ্রহ) নয়, আমলকারীগন সমকালের ইতিহাসের চঞ্চল স্রোতের ভেতর বসবাস করেও, বাস্তবতা উপলব্ধি করে। ইতিহাসের গতিপ্রকৃতি ও নির্মাণকে এবং সেখান থেকে উদ্ভব টুকরো টুকরো ঘটনার মধ্য দিয়ে সভ্যতার আগামির ইতিহাসের দ্রষ্টা ও রক্ষাকারী থাকে। বিচ্যুত হয় না।

☆ দায়িত্ব পালনে অর্জিত অসাধারণ মেধা, মননের উন্নয়ন সৃজনশীল সত্তা আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত এর পরিচয় লাভের যোগ্য হয়। থাকে উপযোগী প্রকাশভঙ্গীর (প্রকাশনার) অধ্যাবশায়। – যা কিনা মানব ও সমাজ সেবার অতি আধুনিক রুপ। তাবলীগ। মানব সমাজের পুষ্টি সাধন ও সমর্থন। চক্ষু, কর্ন ও মুখ (উচ্চারণ)। পরীক্ষা উত্তরণ ও বিজয় কৌশল। দ্বিমূখী মন (বাইফোকাল মাইন্ড) – কাছেও নিবদ্ধ আর দূরেও প্রসারিত। সফলকাম। দুনিয়াতে এবং আখিরাতেও। অন্তরদৃষ্ট ও কালজয়ী। ♡ মানার যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়া, ঈমানের পরিপূর্ণতা এবং সার্বজনীনতার সাথে দাওয়াতে ধারাবাহিকতা রক্ষার ভিত্তিতেই এ উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত বলা হয়েছে। ♧ আদেশ (সৎ) নিষেধ (অন্যায়) ই শরিয়ত। নিশ্চয়ই; শরিয়ত হল মঙ্গল এবং কল্যাণ। শান্তি পূর্ণ। অনুসরণীয়। বুদ্ধিবৃত্তিক সৌন্দর্য। বিবেকের দাবীও বটে। ■ ধর্ম (স্থান, কাল, পাত্র ভেদে আদর্শ/নীতি/চেতনা বা বৈজ্ঞানিক সূত্র) নিয়ে ব্যাবসা তখনই হবে যখন ধর্মের কথাতো বলা হবে কিন্ত মান্য করা হবে না। তবে @ স্বার্থপর, হাইআরো ক্রেসি বা ভাড়া করা ভিড়(জন সমাবেশ) ও নির্বাচিত ঐক্যমতকে বলা যেতে পারে। ° মৃত্যুর শীতলতা পার্থিব সংসার ( সমুদ্রের) উলম্ফ (সীমা লঙ্ঘনকারী) আস্ফালনের সমাপ্তি টানবে। বাকী থাকবে আখিরাত। ❤️ হৃদয়ের ভালবাসা আর বন্ধন অটুট যতদিন থাকবে বিজয়ী থাকবে ততদিন। %

° বাস্তবে রুপায়িত ব্যাবস্থাকেই সহজে বিচার করতে পারে এবং তাকেই পেতে চাওয়া। যা দাবী ই’লম এর সাথে আমলী উযুদ (জিন্দেগী)। চলন-বলন, ধ্যান-ধারণা, আইন কানুন ও মূল্যবোধ সর্ব ব্যাপী উৎস থেকে গৃহীত হবে। * কুসংস্কার / আচার আচরণ / রীতি ও কুপ্রথা / আইন কানুন / নীতি থেকে পুনরুদ্ধার।-

● আখ্যায়নে আত্নপ্রসাদ? আস্তিত্ব দৃশ্যমান জগত থেকে বিলুপ্ত!

■ মানুষের সৃষ্টিশক্তি ও বস্তুগত সুবিধার উপকরণ, নির্মাণ কৌশল মানবিকতার [মনুষ্যত্ব] দাবিয়ে আনেক উপরে চলে গেছে।

♡ আগামীর সংগ্রাম ফিরে আসার সংগ্রাম।

মুক্তি ও স্বাধীনতার।

insideout

“I have sent down to you a Book which contains your words, but you do not ponder.” : Holy Quran. Surah Al-Ambiya: Verse 10.

What about ‘me’?

If you search, you will find in the verse Karima ;

Surah Al-Jariyat: 17-19, Ha-Meem Sijdah: 16, Al-Furqan: 64, Al-Imran: 134, Al-Hashr: 9, Ash-Shura: 37-38, As-Saffat: 35-36, Az-Zumar: 45, Maddassir: 42-46,

“Yes, there are some people who confess their sins. They do good deeds by mixing good and evil – some good, some bad. Hopefully Allah will forgive them.” “Surely Allah is Most Merciful, Most Forgiving.” : At-Tawba verse 12.

“Those who go astray and go astray from the mercy of Allah.” : Al-Hijr verse: 10.

☆ We have more to say – the obligatory duty and responsibility –

Al-Hajj: 110, Surah Araf: 176, Al-Imran: 110, Surah Al-Baqarah: 30, Surah Jariyat: 56, Surah Al-Baqarah: 143.

❤ Sunnat or Fitrat (Natural Phenomena) –

Ar Rad: 15, Bani Israil: 44, Sura Hijr: 29, Sura Baqara: 30, Muminun: 53, Sura Ibrahim: 13-14, Sura Qamar: 49, Al Furqan: 2, An-Nisa: 19, Surah Al-Baqarah: 216,

# The way the result depends on the material, never do it again. Sometimes the material is effective, sometimes it fails, and the means are all in the hands of Allah.

Surah Al-Talaq: 10, Taqweer: 29,

The use of that means is Sunnah (which is commanded). In the confidence of faith. Stay away from dilemmas and blind faith. Surah Al-Baqarah: 268, Surah Namal: 62,

♧ A book which speaks of the wise, the sinful, the small, the big, the rich and the poor.

♡Really unique ..

□ Man’s (overall) innate nature (Sunnah which is Fitrat) and not contrary to his basic needs but is sure to bring good and beneficial fruits.

@ Islam has never prevented the discovery of the universe and its material resources. In addition to the obligation to represent

%, honesty that leads to the straight path is included in worship (subject to certain conditions). That is the purpose of human creation.

Surah Al-Baqarah: 30, Surah Jariyat: 56, Surah Imran: 110

If you are the best Ummah, you have been brought forth for the welfare of mankind. You enjoin good deeds and forbid wrongdoing and believe in Allah. – Surah Al Imran verse 110. □ You are intended; We (I) who have attained mastery by assimilation ( with Soul). The wisdom of the ancients, the more modern philosophy, the scientific knowledge, the mechanics of engineering, the history of his own and other times, the basic terms of economics, social and political life and thought and his purveyors according to his perceptions and needs. And to convey (reach) them in principle in order to meet the needs (good will) of all Ummat or listeners, readers and aspirants, bringing the extent of the lin’ nas until the Day of Resurrection. * Not only news-gatherers (collectors), but doers, while living in the turbulent currents of contemporary history, realize the reality. The movement and construction of history and the events that emerge from it are the seers and protectors of the future history of civilizations. does not deviate.

☆ Extraordinary talent acquired in the performance of duties, development of mind deserves the recognition of Allah Rabbul Izzat, the creative being. There are useful modes of expression (publication). – Which is the most modern form of human and social service. tabligh Nurturing and supporting human society. Eyes, ears and mouth (pronunciation). Exam Passing and Winning Strategies. Bifocal Mind – Focuses near and extends far. success In this world and in the hereafter. Insightful and timeless. ♡ This ummah has been called the best ummah based on the completion of the qualification of obedience, perfection of faith and continuity in da’wah with universality. ♧ Order (honest) Prohibition (unjust) e Shariat. Surely; Shariah is goodness and welfare. full of peace to follow Intellectual beauty. It is also a demand of conscience. ■ Dealing with religion (ideology/principle/consciousness or scientific formula depending on place, time, container) will only happen when religion is talked about but not obeyed. But @selfish, hierocracy or hired crowd (public assembly) and elected consensus can be called. ° The coolness of death will put an end to the ulmph (boundary transgressor) swelling of the earthly world (ocean). The rest will be hereafter. ❤️ As long as the love and bonds of the heart are unbreakable, there will be winners. %

□Amli Ujud (Zindegi) with the claim Ilam. Morals, ideas, laws and values ​​will be taken from all sources.

* Recovery from superstition / conduct / customs and evil practices / laws / principles.-

°Self-satisfaction in the description? Existence is extinct from the visible world!

■ Material of human creativity and material benefits, construction techniques have gone far beyond the pressure of humanity.

Tomorrow’s struggle is the struggle to come back. Liberation and freedom.

¤ জীবন যাত্রার উৎসমূলের দিকে লক্ষ করলে কী প্রতিভাত হয়?

জীবন জীবিকার বাজি খেলা !     

বস্তু জাত উন্নয়নের দাসত্ব?

What is revealed when you look at the source of life’s journey?

Life is a bet game!

Slavery to the development of material species?

● বিপর্যয়ের মূল কারণ হচ্ছে সামঞ্জস্য শীল এই প্রাকৃতিক নিয়মনীতির বিরুদ্ধাচারণ করা।

• The root cause of the catastrophe is to contradict this natural law of harmony.

□ ”Awali” (ফিরে এসো আপন সত্তায় / অরিজিন)

○ আমরা জানি। □ স্বাভাবিক অবস্থা(ফিতরাত) । বাহিরের যে কোন অনুপ্রবেশ কারী ( অপকৃষ্টি বা অপসংস্কৃতির, রেসিস্ট) যারা শত্রু (ফরেন বডি) হিসাবেই সাবস্ত হয়। তখন প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা সচল হয়। তারাই যুদ্ধাবস্তার জন্য দায়ি।

■ সেইসব দৃশ্যমান বা অদৃশ্য শক্তিকে (শয়তান/অপশক্তি) রুখে দেওয়ার দিতে হয়। সেইজন্য শত্রু পক্ষের প্রকৃতি অনুপাতে তার ক্ষতি করার ক্ষমতা, নিজের দূর্বলতা যাচাই করে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যুদ্ধ অবস্যম্ভাবী। উত্তপ্ত হয়।

❤️ দুই দিন পর্যবেক্ষণের পর নিয়মিত বাহিনীর সক্ষমতা সামনে এসে যায়। মবিলাইজেশনের(সঠিিক দিশা/পথ) দূর্বল দিক বিবেচনার জন্য উপসর্গ পরীক্ষা(প্যাথলজি) করে রিপোর্ট বিশ্লেষণ করা হয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নির্দেশনায়। তারপর ডাক্তারগন (আলেম) ডাইগনাইসিস(রোগীর ব্যাক্তিগত আবস্থা বা ব্লুবুক দেখে) করে পেসক্রাইব(ফতোয়া) দান করেন। আর সেই মোতাবেক রি-ইনফোর্সমেন্ট বা চিকিৎসার পদ্ধতি প্রস্তুত করে যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। ♧ যুদ্ধে মরে গেলেও হেরে যাওয়া যাবে না। মৃত দেহাবশেষ ফোঁড়া ফুসকুড়ি রুপে দৃশ্যমান হবে।

°ا সুস্থতা আল্লাহ পাকের দেওয়া বিশেষ নিয়ামত। ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিওর’। # প্রিভেনশন হল সুন্নাত (ক্যাটালগ/ব্রোশিয়ার/ সিস্টেম/সিলেবাস/প্রশিক্ষণ ইত্যাদি) আর কিওর হল পবিত্রতা(কুরআনের নির্দেশনা)।

☆ا ভয় জয় করার একই উপায়, এক আল্লাহ্‌র ভয়। ‘ভয় নয় সচেতনতায় জয়’। আর সচেতনতা হল দ্বীনের ই’লম(স্বভাবিকতা)। 💚

♡ পুরো প্রক্রিয়ার নামই জিহাদ(বিরুদ্ধাচারণ সকল মিথ্যা ও অবিচারের)।

@ অটো ইমিউন ডিজিজ : নিজের কোষ বা প্রত্যঙ্গ চিনতে না পারার কারণে শত্রুভাবাপন্নতা তৈরী হয়ে ধ্বংসোম্মুখ হয়ে উঠা। নিজের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থারই ঘাতক রুপ। সশস্ত্র বাহিনী আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার হবে। আমাদেরই হাতের কামাই নয়? আত্নঘাতি! যা কিছু মানুষকে উপকার পৌঁছনোর জন্য তা কেন ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে! এন্টাগনাস্টিক হয়ে তাকে প্রান্তিকতায় নিয়ে যায়। কম বা বেশী করে যা ভারসাম্যহীন করে দেয়।

○ মলিকিউলার মিমিকীউল। সংশোধনের জন্য প্রযোজ্য সেট প্রোগ্রাম। নাকি সাইকোমেট্রিক টুল ইনার স্ট্যাটাস বা এস্টেটমেন্ট অফ মাইন্ড (উদ্যোক্তা) তৈরী করে। নিউট্রাস নিউটিকালস ইন্ডাস্ট্রির জন্য? ইনফরমেশন টেকনোলজি ফর/মানে কন্ট্রোল বাই সেন্ট্রালাইজ ডেটা। যেমন, জয় বাংলা বা রক্ত চক্ষু(সিনড্রোম) হচ্ছে ভাইরাল ইনফেকশন। ডাক্তার বাবুরা বলেন, রড সেল আর কো’ন সেল ডেভেলপড করে চোখ এবং মনের কারেকশন প্রয়োজন। ’13 জিন’ দায়ী ভেবে আত্নপ্রসাদ লাভ করা¿

° ন্যানো টেকনোলজি – সিনারজিটিক অথবা এন্টাগনাস্টিক।

■ উপসর্গ: ইমিউন সিস্টেম ডিজঅর্ডার – ডায়াবেটিক(হাইপার হাই লো প্রেসার), কিডনি (ফিল্টার ফেইলিয়র), লিভার (উদর দ্বিতীয় মস্তিষ্ক, সব রোগের সুতিকাগার), মাথাব্যাথা, হরমোনিক(থাইরয়েড), বাত বেদনা(অবসাদ/ফ্যাটিগ), লোভ স্নেহ – কোলেস্টেরল।

💚 চিকিৎসা : শরিয়ত = রাইট ডোজ বিটুইন নিউট্রাস এন্ড পয়জন । সুন্নাহ = রিসেপ্টর কন্ট্রোল। হালাল হারাম = ফুড হ্যাবিট আর লাইফ স্টাইল। মাসআলা মাসায়েল বা মাযহাব = পারসোনালাইজ নিউট্রিশন।

☆ % অব হায়ারোক্রেসি! মানুষ কি তব মাথার গননার অংক তন্ত্র (গননাঙ্ক) ¡ মন কি অর্থনীতির সূচক এর উঠা নামা। উন্নয়নের ঋণে ঋদ্ধ।

□ “Awali” (Return to your Self / Origin)

○ We know. □ Normal condition (Fitrat). Any outside intruder (subculture, racist) who is known as the enemy (foreign body). Then the defense system is activated. They are responsible for the war.

■ Those visible or invisible forces (Satan/evil forces) must be allowed to resist. Therefore, the nature of the enemy side is proportional to its ability to harm, to test its own weakness and develop resistance. War is inevitable. Is heated.

❤️ After two days of observation, the capabilities of the regular forces came to the fore. To consider the weakness of mobilization(rightpath/direction), symptom examination (pathology) and report analysis is done under the guidance of specialist doctor. Then the doctors (Alem) make the diagnosis (by looking at the patient’s personal condition or blue book) and give the passcribe (fatwa). And accordingly the re-enforcement or treatment method is prepared and the war is conducted. Even if you die in battle, you cannot lose. Dead bodies will be visible in the form of boils.

°ا Health is a special blessing given by Allah. ‘Prevention is better than cure’. # Prevention is Sunnah (Catalogue/Brochure/System/Syllabus/Training etc.) and Cure is Purity (Qur’anic instructions).

☆ا The only way to overcome fear is the fear of God. ‘Winning in awareness not fear’. And awareness is the ilm (naturalness) of religion. 💚

♡ Full process mane jihad(against all odds-lie & injustice).

@ Auto Immune Diseases: Failure to recognize one’s own cells or organs leads to hostility and destruction. Self defense is the killer form. Our army used against us. it not our own earnings? Suicide! Why does something that is beneficial to people become harmful! Being antagonistic leads him to marginalization. Do more or less which causes imbalance.

○ Molecular mimicry. Applicable set program for correction. Or psychometric tools create inner status or statement of mind (entrepreneur). Nutras for the nautical industry? Information technology for/means control by centralizing data. For example, Jai Bangla or bloodshot eyes(syndrome) are viral infections. Dr. Babu said, eye and mind correction is required by developing rod cells and cone cells. Gaining complacency by holding ’13 genes’ responsible¿

° Nanotechnology – synergistic or antagonistic.

■ Symptoms: Immune System Disorders – Diabetic (Hyper High Low Pressure), Kidney (Filter Failure), Liver (Abdominal Second Brain, Repository of All Diseases), Headache, Hormonal (Thyroid), Arthritis (Despair/Fatigue), Lust Affection – Cholesterol.

💚 Treatment: Shariah = Right dose between nutrients and poison. Sunnah = receptor control. Halal Haram = Food Habit and Life Style. Masala Masael or Madhab = Personalize Nutrition.

☆ % of hierocracy! Is man a numerical system of counting the mind? Is the mind an index of the economy? Development debt.

দরিদ্রতা দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে ওশর


মহাবিশ্বের স্রষ্টার একটি মহিমান্বিত অনুগ্রহ হলো, পৃথিবী সৃষ্টি, যেখানে আল্লাহর হুকুমে অসংখ্য শস্য, ফল, ফুল, শাকসবজি ও গাছপালা জন্মায়, যা ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব। আল্লাহ মাটিকে ফলদায়ক করেছেন এবং ফসলের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য তিনি মেঘ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করে, পাহাড় থেকে নদী প্রবাহিত করে এবং পৃথিবীর মধ্যে পানির আধার স্থাপন করে প্রচুর পরিমাণে পানি সরবরাহ করেছেন। বাতাসের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তিনি মানুষ, জিন ও অন্যান্য প্রাণীকে জমির উৎপাদিত পণ্যের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে এবং তাদের জীবন কাটাতে সক্ষম করার জন্য আলো এবং তাপ প্রদান করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি শুকরিয়া প্রকাশ করার উপায় হিসেবে ইসলামী শরিয়ত গরিব-দুঃখীদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য জমির উৎপাদিত ফসলের ওপর ওশর প্রদান করার কথা বলেছেন। এককথায় সম্পদের জাকাতের মতো ফসলের জাকাত ওশর।

ওশর পরিচিতি
ওশরের আভিধানিক অর্থ, দশম অংশ। কারিগরিভাবে এর অর্থ জমির উৎপাদিত পণ্যের জাকাত। জাকাতের মতোই ওশরও ফরজ। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন : ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা যে সম্পদ অর্জন করেছ এবং আমি তোমাদের জন্য পৃথিবী থেকে যা উৎপন্ন করেছি তার সর্বোত্তম অংশ আল্লাহর পথে ব্যয় করো।’ (সূরা বাকারা, আয়াত ২৬৭)।

রাসূল সা: বলেছেন, ‘জমি প্রাকৃতিকভাবে অথবা বৃষ্টি অথবা কূপ অথবা নদীর পানি ইত্যাদি দ্বারা সেচ করা হলে ক্ষেতের উৎপাদিত ফসলের এক-দশমাংশ দেয়া ফরজ এবং যদি জমি থেকে পানি বের করে সেচ করা হয় তাহলে বিশ ভাগের এক ভাগ দেয়া ফরজ।’ (সহিহ আল-বুখারি, মুসলিম, নাসাঈ ও আবু দাউদ)। জাকাত নগদ, স্বর্ণ ও রৌপ্যের ওপর বছরে মাত্র একবার প্রদেয়, তবে ওশর জমির ফসল বছরে যতবার কাটা হয় তার ওপরও ততবার দিতে হয়। তবে, আবাসিক চত্বরে রোপণ করা পেয়ারাজাতীয় ফলের গাছ হলে বা তার আশপাশে অল্প পরিমাণে কিছু ফসল জন্মালে, তার ওপর উৎপাদিত কোনো ওশর প্রদেয় হবে না। জমির উৎপাদিত ফসলের ওপর ওশর পরিশোধের পর যদি ভবিষ্যতের জন্য শস্য মজুদ করা হয়, তাহলে তাদের ওপর আবার ওশর প্রদান ফরজ হবে না; কিন্তু যদি এই শস্যগুলো বিক্রি করা হয়, তাহলে এই বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত পরিমাণের ওপর জাকাত ফরজ হবে, যদি পরিমাণটি নিসাবের স্তরে পৌঁছায় এবং পুরো বছর ধরে দখলে থাকে। মহানবী সা: বলেছেন : ‘মধুর দশমাংশ দান কর।’
কৃষিজমির মূল্যের ওপর কোনো জাকাত ফরজ নয়। ওশর আল্লাহর রাসূল সা:-এর সময়ে কার্যকর হলেও খলিফা উমর (রা:) ছিলেন প্রথম মুসলিম শাসক যিনি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ওশর কার্যকর করেছিলেন।

ওশর প্রদানের বিধিবিধান
কুরআন বা হাদিসে ওশরসংক্রান্ত নিসাবের কোনো নির্দিষ্টকরণের বিধান না থাকায় আবু হানিফা (রহ:) কর্তৃক কোনো সঠিক নিসাব নির্ধারণ করা হয়নি। বরং উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ নির্বিশেষে জমির সব উৎপাদনের জন্য তা প্রদেয় হবে। অর্থাৎ জাকাতের মতো ওশরে কোনো নির্দিষ্ট নিসাব নেই যার নিচে ওশর মাফ হতে পারে। কিন্তু ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রহ:) এবং অন্যান্য ফকিহ্ মত দেন যে, যদি উৎপাদন পাঁচ ওয়াসাকের কম হয় তাহলে কোনো ওশর ফরজ নয়।

কৃষকের শ্রম, লাঙল চাষের খরচ কিংবা বীজের মূল্য ইত্যাদির মতো চাষের খরচ বাদ না দিয়ে যেসব কৃষিপণ্যের ওপর ওশর প্রযোজ্য হয় তার ওপর ওশর প্রাপ্য হবে। নবী সা: বিশেষ করে সেচ খরচকে উৎপাদন খরচ হিসেবে বিবেচনা করতেন। সে অনুসারে সেচযুক্ত ফসলের জন্য ওশরকে ৫ শতাংশ এবং বৃষ্টিনির্ভর ফসলের জন্য ১০ শতাংশ বিবেচনা করা হয়। ফসলের অন্যান্য খরচ বিবেচনা করার কোনো হাদিস নেই। ফসল কাটার আগে বিক্রি হলে ক্রেতাকে ওশর দিতে হবে। তবে বিক্রির সময় ফসল পাকা হলে বিক্রেতাকে ওশর দিতে হবে।

অপ্রাপ্তবয়স্ক ও উন্মাদ ব্যক্তির ওপরও ওশর ধার্য হবে। যদি কেউ ওশর পরিশোধের আগে মারা যায় এবং তার ফসল অবশিষ্ট থাকে, তাহলে তার ওপর ওশর আদায় করা হবে। যদি বন্যা, মুষলধারে বৃষ্টি, আগুন, গরম বাতাস বা পঙ্গপালের দ্বারা কারো ফসল সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে ওশর বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কিছু ফসল অক্ষত থাকে তাহলে অক্ষত ফসলের ওপর ওশর চার্জ করা হবে। ফসল যেকোনো আকারে ব্যবহারের উপযোগী হওয়ার সাথে সাথেই ওশরের অধীন হয়ে যায়। ওশর পরিশোধ করার দায়িত্ব জমির কৃষকের, এমনকি যদি সে জমিটি স্বল্প সময়ের জন্য ইজারা নিয়েও থাকে। যদি দুই ব্যক্তি যৌথভাবে এক খণ্ড জমি চাষ করে, তবে উভয়কেই ওশর ভাগ করে দিতে হবে। ওয়াক্ফ জমিগুলো ওশরের অধীন, যা চাষিকে পরিশোধ করতে হয়। ওশর অর্থ বা সমমূল্যের নগদে পরিশোধ করা যেতে পারে। অমুসলিম রাজ্যে বসবাসকারী মুসলিমদের দখলে থাকা জমিগুলো ওশরের অধীন। ভূমি রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে ওশর বাতিল হয় না। ওশরের ব্যয়ের খাত কুরআনের সূরা তাওবাহর ৬০ নম্বর আয়াতে বর্ণিত জাকাতের ব্যয়ের জন্য নির্ধারিত আটটি খাতের মতোই।

ওশরের অর্থনৈতিক গুরুত্ব
আগেই বলেছি, ওশর প্রদান অন্যতম ফরজ ইবাদত। রাসূল সা: ওশর কার্যকর করেছেন এবং পরে উমর (রা:) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ওশর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওশর বিভিন্ন উপায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে; যেমন ১) ওশরের অর্থ দেশের দরিদ্র জনগণের জন্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। ২) ওশর আত্মাকে শুদ্ধ করে; আল্লাহ বলেন, ‘তাদের ধনসম্পদ থেকে দান-সদকা গ্রহণ করো, যা দিয়ে তাদের পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করো এবং তাদের জন্য দোয়া করো। প্রকৃতপক্ষে, আপনার প্রার্থনা তাদের প্রশান্তি দেয়। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত ১০৩)। পরিশুদ্ধকরণ ছাড়াও ওশর সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবর্ধনও করে থাকে। ওশরের একটি নিশ্চিত সুবিধা হলো, দরিদ্র ও অভাবীকে আরো বেশি উৎপাদনশীল হতে সাহায্য করা। ওশরের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভ করে। ওশর অফুরন্ত পুরস্কার নিয়ে আসে; আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেন, ‘যেসব লোক ব্যবসাবাণিজ্যের দ্বারা আল্লাহ র স্মরণ থেকে বিমুখ হয় না, সালাত কায়েম করে এবং জাকাত প্রদান করে, সেই দিনের (বিচারের) ভয়ে যে দিন অন্তর ও দৃষ্টি উল্টে যাবে।’ (সূরা আন-নূর, আয়াত ৩৭)।

ওশর ব্যবহার করে একজন রাস্তার ভিক্ষুককে শ্রমিকে পরিণত করা যায়। যেকোনো ব্যবসার জন্য ওশর থেকে মূলধনের জোগান দিলে দরিদ্র তার শ্রম দিয়ে এবং উদ্যোক্তাকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বাড়াতে পারবে। ওশর ইসলামী রাষ্ট্রের আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস যা দিয়ে সরকার সামাজিক সুরক্ষা নেট কর্মসূচি চালাতে পারে। ওশরকে কাজে লাগিয়ে বৈদেশিক নির্ভরতা এবং আয়ের বৈষম্য কমানো যেতে পারে।


ওশরের অর্থ দিয়ে ঋণ বা কর্দ আল-হাসানা ফান্ড তৈরি করে অভাবগ্রস্তদের দরিদ্রতা দূরীকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সৃষ্টির প্রচেষ্টা করতে পারে। সূরা বাকারা, আয়াত ২৭৬ অনুসারে ওশর, জাকাত ও সাদাকা প্রদান এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যয় করা প্রদানকারীর সম্পদ বৃদ্ধি করে। ওশর সম্পদের মজুদদারি সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কার্যকর আর্থিক পদ্ধতি। কারণ তা বিভিন্ন সম্পদের বিস্তৃত পরিসরে অর্থ প্রদান করা হয় এবং অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য একটি প্রেরণা।

বাংলাদেশে আদায়কৃত ওশরের পরিমাণ
বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় এমন কোনো প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যায়নি যে প্রতিষ্ঠান ‘ওশর ব্যবস্থাপনা’র জন্য কাজ করছে। জাকাত ব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করছে; কিন্তু তারা ওশর আদায় করছে না; এমনকি ওশর সম্পর্কে জানেও না। ওশর প্রদানের উদ্দেশ্যই দরিদ্রদের সহযোগিতা করা। দারিদ্র্যবিমোচনে ওশর কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে তা আলোচনার আগে বাংলাদেশে প্রতি বছর কী পরিমাণ ওশর আদায় করা সম্ভব, তার ওপর একটি ইম্পিরিক্যাল স্টাডি করা হয়েছে, যা এখানে বর্ণিত হলো।

বাংলাদেশে আদায়যোগ্য ওশরের পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য দেশের সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ১১১টি ফসলের তিনটি ভিন্ন বছরের (২০১৪ থেকে ২০১৭) ফসলের ফসল-ভিত্তিক উৎপাদন নির্ণয় করা হয়েছে। উৎপাদিত ভিন্ন ভিন্ন ফসলের সমষ্টি থেকে বাংলাদেশের মোট ফসল নির্ণয় করার জন্য সব স্বতন্ত্র ফসলকে বোরো ধানের সমতুল্য উৎপাদনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। গবেষণার জন্য বিবেচিত তিন বছরে প্রাক্কলনকৃত ওশরযোগ্য ফসলের পরিমাণ প্রায় কাছাকাছি। ফলে হিসাবের সুবিধার্থে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ফসলকে পরবর্তী প্রাক্কলনের জন্য বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশের ১১১টি ফসলের উৎপাদন, বোরো ধানের সমতুল্য ফসল উৎপাদনে রূপান্তর করে পাওয়া যায় ৮৬,০৮৬,৬১১ মেট্রিক টন। সুতরাং যান্ত্রিক সেচ নির্ভর ফসলের জন্য নির্ধারিত ৫ শতাংশ হারে ওশর হিসাব করলে আদায়যোগ্য ওশরের পরিমাণ হবে ৪,৩০৪,৩৩১ মেট্রিক টন বোরো ধানের সমতুল্য ফসল। অন্য দিকে বৃষ্টি অথবা প্রাকৃতিক সেচনির্ভর ফসলের জন্য নির্ধারিত ১০ শতাংশ হারে আদায়যোগ্য ওশর হবে ৮,৬০৮,৬৬১ মেট্রিক টন বোরো ধানের সমতুল্য ফসল। আমরা যদি সঠিকভাবে ওশর রেকর্ড এবং সংগ্রহ করতে পারি তবে পরিমাণটি প্রাক্কলিত পরিমাণের চেয়েও বেশি হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এই উৎপাদন থেকে কিছু অমুসলিমদের জমির ফসলও হিসাবে রয়েছে। আমরা যদি দেশের ১০ শতাংশ অমুসলিম বিবেচনা করি তাহলে আমরা মোট উৎপাদনের এক-দশমাংশ কমাতে পারি, তাহলে ওশর হবে ৩,৮০৩,৪৯৮ মেট্রিক টন বোরো ধানের সমতুল্য উৎপাদন।

বিভিন্ন ফসলের ওই বছরের বাজার দামের ভিত্তিতে মোট ফসলের মূল্য হয় ১,৭৫৪,৪৪৫,১২৮,৯১৪ টাকা। যান্ত্রিক সেচনির্ভর ফসলের নিয়ম অনুযায়ী ৫ শতাংশ হারে মোট আদায়যোগ্য ওশর হবে ৮৭,৭২২,২৫৬,৪৪৫ টাকা। অন্য দিকে বৃষ্টিনির্ভর ফসলের জন্য ১০ শতাংশ হারে আদায়যোগ্য ওশর হবে ১৭৫,৪৪৪,৫১২,৮৯১ টাকা। ওশর নির্ণয়ের জন্য নিসাবের হিসাব নিয়ে যদিও মতভেদ রয়েছে তার পরও আমরা যদি নিসাব বাদ দিয়ে ওশর হিসেব করি তাহলে আমরা বিবেচনা করতে পারি যে, দেশের প্রায় অর্ধেক জমি ধনী ব্যক্তিদের মালিকানাধীন, তাই অর্ধেক ফসল দরিদ্র দ্বারা উৎপাদিত হয়। এই ধনী অর্ধেক লোকের ফসল উৎপাদন নিসাবের ঊর্ধ্বে, যা ওশর প্রদেয়। সুতরাং আমরা যদি ওশর বিবেচনা করি তাহলে ৫ শতাংশ হারে ওশরের মোট পরিমাণ বছরে ৪.২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে, যেখানে ১০ শতাংশ হারে প্রতি বছর ৮.৫ হাজার কোটি টাকা হবে।

বাংলাদেশের দরিদ্রতা বিমোচনে ওশরের ভূমিকা
জাকাত ও ওশর উভয়েরই উদ্দেশ্য : ১) আল্লাহর আদেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা, ২) সম্পদ বৃদ্ধি ও পবিত্র করা, ৩) দরিদ্র ও অভাবী লোকদের সাহায্য করা, ৪) একটি ন্যায় ও ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং ৫) ভ্রাতৃত্বের ধারণাকে প্রচার করা। কুরআনের সুরা তাওবাহ, আয়াত ৬০ অনুসারে জাকাত ও ওশরের উদ্দেশ্য হলো, আটজন সুবিধাভোগীকে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে সহায়তা করা এবং আর্থসামাজিক ন্যায়বিচার অর্জন করা।

গত তিন দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের তীব্রতা হ্রাস পেলেও এর গভীরতা অব্যাহত রয়েছে। ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির মতো উপকরণগুলো দরিদ্রতা বিমোচনে অবদান রাখছে, কিন্তু বিশ্বজুড়ে প্রমাণিত যে, এই দু’টি উপকরণ আয় বৈষম্য কমাতে সফল নয়। এখানে জাকাত, সাদাকাহ, আওকাফ ও ওশরের মতো ইসলামী আর্থিক উপকরণগুলোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে ন্যায়সঙ্গত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মুসলমানের ৮০ শতাংশের বেশি গ্রামীণ এলাকায় বাস করে, যাদের অধিকাংশেরই জাকাত ফরজ হওয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই। অথচ তাদের ওশর ফরজ হয়; সুতরাং ওশর ব্যবস্থা গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার জাদুকরী পরিবর্তনের জন্য একটি রোল মডেল হতে পারে। তবে অনেক লোক রয়েছে যারা জাকাত এবং ওশর দু’টিই দেয়ার যোগ্য। তবুও ওশর প্রথা বাংলাদেশে সবচেয়ে অবহেলিত অর্থনৈতিক ও মানবিক ইবাদত। তাই এ প্রবন্ধটি বাংলাদেশে ওশর ব্যবস্থাপনা, দারিদ্র্যবিমোচনে এর ভূমিকা এবং বাংলাদেশে এর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের মূল্যায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

বাংলাদেশে ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজধানীতে সানেম আয়োজিত ‘দরিদ্রতা ও জীবিকার ওপর কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণায় দেখানো হয় করোনা মহামারীর প্রভাবে দেশে সার্বিক দারিদ্র্যের হার বেড়ে হয়েছে ৪২ শতাংশ। ওশর ও জাকাত নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশের গবেষণা থেকে দেখা যায়, ওশর দারিদ্র্যবিমোচনে ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থার জাদুকরী পরিবর্তনের জন্য ওশর একটি রোল মডেল হতে পারে। বিশেষ করে যারা ক্রমাগত খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, কোনো জমি ও সম্পদের মালিক নয়, প্রায়ই অশিক্ষিত এবং গুরুতর অসুস্থতা বা অক্ষমতার শিকার হতে পারে তাদের জন্য ওশর প্রকৃত অর্থেই একটি রোল মডেল হতে পারে।

উপসংহারে বলা যেতে পারে যে, বাংলাদেশে সবচেয়ে উপেক্ষিত এবং কম জোর দেয়া আর্থিক ইবাদত হলো ওশর ব্যবস্থাপনা। গবেষণায় এমন কাউকে পাওয়া যায়নি যে, কৃষিপণ্যের ওপর যথাযথভাবে ওশর প্রদান করে। শুধু তা-ই নয়, এ ধরনের জাকাত সম্পর্কেও মানুষ সচেতন নয়। তারা ওশরের মৌলিক ধারণাও রাখে না এবং ওশর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কোনো কার্যক্রম বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে নেই বললেই চলে। অথচ ওশর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য অর্থনৈতিক সমাজ গড়ে তোলার বিশাল সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও দরিদ্রতা, ক্ষুধা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও মঙ্গল, মানসম্পন্ন শিক্ষা, শালীন কাজ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আয়বৈষম্য সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ওশর ও জাকাতের ভূমিকা রয়েছে।

অতএব, ওশর বাস্তবায়নের জন্য ওশরের ধারণা, ইসলামী আইনে ওশরের গুরুত্ব এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার জন্য সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংস্থার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে, সরকার এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। স্থানীয় মসজিদের ইমামরাও ওশর ব্যবস্থাপনার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। দরিদ্রতা দূরীকরণ এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য অর্থনৈতিক সমাজ গঠনে জাতীয় বাজেটে ওশরের পাশাপাশি জাকাত ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে দেশব্যাপী তা কার্যকর করার জন্য একটি আইন গঠন করা যেতে পারে। রাষ্ট্রের জাকাত ও ওশর ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনার জন্য তাদের সহায়তা করা প্রয়োজন।

জনগণকে ওশর সম্পর্কে সচেতন করা, তা আদায় করা এবং সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য একটি গ্রামভিত্তিক সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

জাকাত প্রদানে সম্পদ বৃদ্ধি পায় যেভাবে


শাব্দিক অর্থে জাকাতের অনেক অর্থের মধ্যে পবিত্রতা ও ক্রমবৃদ্ধি অন্যতম। পারিভাষিক অর্থে জাকাত হলো- ধনীদের ধন-মাল থেকে আল্লাহর নির্ধারিত হারে উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রদান করা। আল্লাহ বলেন, ‘…এবং তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জাকাত আদায় করো। অতঃপর তিনি তা দ্বিগুণ করে দেবেন।’ (সূরা আর-রুম, আয়াত-৩৯)। জাকাত আদায়ের ব্যাপারে মুহাম্মদ সা: বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ জাকাত দেয়া ফরজ করেছেন যেন তোমাদের অবশিষ্ট সম্পদকে নির্দোষ বা নির্বিঘ্ন করে দিতে পারেন।’ (আবু দাউদ শরিফ)। জাকাত অর্থসম্পদকে পুঁজিবাদের অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করে, মানুষের মন-মস্তিষ্ককে গর্ব-অহঙ্কার, লোভ-লালসা ও কৃপণতার মলিনতা থেকে পরিচ্ছন্ন রেখে সমাজের অবহেলিতদের অধিকার পূরণে উৎসাহ জোগায়। জাকাত দিলে পরকালীন মুক্তির পথও সুগম হয়, তেমনি না দিলে বা তা অস্বীকার করলে দুনিয়া ও আখিরাতে ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া জাকাত সামাজিক জীবন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

জাকাত ‘নিসাব’ পরিমাণ সম্পদ অব্যবহৃত থাকা মুসলমানদের ওপর ফরজ। জাকাতের জন্য বিভিন্ন সম্পদের কথা উল্লেখ থাকলেও ন্যূনতম সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ, কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য বা সমমূল্যের সম্পদ যাদের গচ্ছিত থাকে তাদের ওপর ফরজ। হিসাবকৃত সম্পদ থেকে ঋণ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট সম্পদ থেকে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ জাকাত দিতে হবে। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন, ‘(হে রাসূল!) তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কী দান করবে? আপনি বলুন, যা তোমার প্রয়োজনের অধিক অথবা যতটুকু দান করলে তোমার অসুবিধা না হয়।’ (সূরা বাকারা, আয়াত-২১৯)

জাকাতের অনেক ধরনের ভূমিকার কথা হাদিসে বর্ণিত আছে; সম্পদের বৃদ্ধি তার অন্যতম। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অর্থাৎ জাকাত তার দাতাদের সম্পদকে কিভাবে বৃদ্ধি করে এবং দরিদ্রদের অভাব কিভাবে পূরণে সহায়তা করে সে বিষয়ে এই প্রবন্ধে আলোচনা করা হবে; ইনশা আল্লাহ।

জাকাত প্রদানে যেভাবে সম্পদ বাড়ে : জাকাত ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। সুতরাং বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকেই গুরুত্ব দেন না এই ভেবে যে, জাকাত দিলে সম্পদ কমে যাবে। আসলে জাকাত দিলে সম্পদ কমে না; বরং বৃদ্ধি পায় যা আল্লাহ নিজেই বলেছেন- ‘আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন আর দান-সাদকাকে বৃদ্ধি করেন। আল্লাহ অকৃতজ্ঞ পাপিষ্ঠ ব্যক্তিদের কখনো পছন্দ করেন না; বরং আল্লাহ ওয়াদা করেছেন যে, ‘জাকাত আদায়ের ফলে তিনি বান্দার সম্পদ দ্বিগুণ করে দেবেন।’

জাকাত তার দাতার, গ্রহীতার এমনকি সমাজের সবার অর্থনৈতিক উন্নতির সোপান। এর কারণ জাকাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ফলে সার্বিকভাবে উৎপাদকের তথা দেশের পণ্যসামগ্রী বেড়ে যায়। বাড়তি এই পণ্যসামগ্রী গরিব, দুঃখী ও অভাবী মানুষের মধ্যে বণ্টিত হলে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে এসব লোকের চাহিদা বাড়ে। চাহিদা পূরণের জন্য স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন ও জোগান বৃদ্ধি পায়; এতে মুনাফাও বেড়ে যায়। ফলে সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারিত হয়; অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। দেশ তথা জনগণের মোট উৎপাদন বেড়ে গেলে দরিদ্ররা বেশি জাকাত পাবেন। ফলে তাদের দারিদ্র্য দূর হবে।

একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ধরুন, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে আনুমানিক ৮০ হাজার কোটি টাকা জাকাত আদায়যোগ্য। জাকাত প্রদানকারী তার নিসাবের উপরের সম্পদে জাকাত দিয়েছেন। এই ৮০ হাজার কোটি টাকা জাকাত না দিলে জাকাত প্রদানকারীর টাকা ব্যাংকে জমা থাকবে। কারণ তার খরচ করার প্রয়োজন নেই, তার সব মৌলিক চাহিদা পূরণ রয়েছে। ব্যাংকের ওই টাকা অর্থনীতিতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখবে না। কারণ ওই ৮০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে নতুন পণ্য উৎপাদন করলে এবং পাশাপাশি বাজারে ওই ৮০ হাজার কোটি টাকার পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি করতে না পারলে পণ্য বিক্রি হবে না অথবা কমদামে বিক্রি হবে। ফলে, পণ্যের উৎপাদক এবং বিক্রেতা, যারা জাকাত দিয়েছেন তাদের ব্যবসায় ক্ষতি হবে, ফলে তাদের সম্পদ কমে যাবে।

অন্য দিকে যদি ওই ৮০ হাজার কোটি টাকা গরিবদের জাকাত দেয়া হয় তাহলে গরিবের পণ্য ক্রয়ের চাহিদা রয়েছে। তারা তাৎক্ষণিক বাজারে গিয়ে মৌলিক চাহিদার পণ্য ক্রয় করবে। ফলে বাজারে ৮০ হাজার কোটি টাকার পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হবে। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, ফলে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে হবে। আর এই বাড়তি পণ্যের উৎপাদক, সরবরাহকারী ও বিক্রেতা ওই জাকাত প্রদানকারী বড়লোক। জাকাত দিয়ে তাদের নিজের পণ্যের চাহিদা বাড়াল, সরবরাহ বাড়াল এবং চূড়ান্তভাবে দাম বাড়াল; ফলে জাকাত প্রদানকারীর সম্পদ বেড়ে গেল।

জাকাত দেয়ার মাধ্যমে সমাজের ধনী-গরিবের বৈষম্য দূরীভূত হয়। জাকাত ঠিকমতো আদায় ও বিলি-বণ্টন হলে গরিব ও অভাবীরা সচ্ছল ও উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ পায়। জাকাত ধনীদের সম্পদকে গরিবদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন- ‘সম্পদ যেন শুধু তোমাদের ধনীদের মধ্যে আবর্তিত না হয়।’ (সূরা হাশর, আয়াত-৭)। জাকাতের ওপর অর্থনীতির যে ভিত তৈরি হয়, তাতে ধনী-গরিবের বৈষম্য কমে যায়; ফলে সমাজে শান্তি আসে। সমাজের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর হাতে সম্পদ বণ্টিত হওয়ার ফলে সমাজে থাকে না কোনো বিরোধ; এতে সমাজে আসে অর্থের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল ও টেকসই অর্থনীতি।

জাকাত দিলে সম্পদে বরকত হয় : আল্লাহর অভিপ্রায় হচ্ছে, জাকাতের দ্বারা সম্পদ ও বরকত বাড়িয়ে দেয়া। দুনিয়াতে অসংখ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে যে, হারাম উপায়ে অর্জিত অর্থ-সম্পদের মালিকরা চোখের পলকে পথের ফকির হয়ে গেছে। এক দুই পুরুষের ব্যবধানে সুদীকারবারি ভিক্ষার থালা হাতে রাস্তায় নেমেছে। সুদভিত্তিক বিলিয়ন-ট্রিলিয়নের ব্যবসা অকল্পনীয়ভাবে ধসে গেছে। অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে নামী-দামি ব্যাংক ও করপোরেট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গেছে।

অঢেল টাকার মালিক একটি মাত্র রোগে ধনসম্পদ সব হারিয়ে, ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় হয়েছে। পরের সম্পদ অপহরণের দ্বারা ধনকুবের হয়ে যাওয়া লোকটি স্ত্রী-পুত্র-কন্যার সান্নিধ্যসুখ কিংবা আত্মীয়-পরিজন এমনকি ব্যক্তিগত সুখ-শান্তি থেকে ভীষণ রকম বঞ্চিত। অর্থের জোরে বা কৃত্রিম অহমিকাবোধ থেকে সে তেজ দেখালেও মানবিক দিক দিয়ে সে ভেতর থেকে ভয়ঙ্কর রকম ফাঁকা, যা পূরণের জন্য সে মৌজমাস্তি, অপচয় বা মাদকের আশ্রয় নেয়। জাকাতদাতার সম্পদের হিফাজতের দায়িত্ব আল্লাহর। আল্লাহ চান যে, জাকাতভিত্তিক অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থা সুসংহত হোক। জাকাত দিলে নিজ ও নিজ বংশধরের মধ্যে দ্বীন-ঈমান টিকে থাকে।

জাকাত চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী, চোর-ডাকাত এমনকি রাষ্ট্রের রোষানল থেকেও জাকাতদাতাকে রক্ষা করে; ফেরেশতারা জাকাতদাতাকে হিফাজত করেন। আর জাকাত না দিলে জমাকৃত সম্পদই পরকালে তার শাস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহ বলেন- ‘যারা সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে, হাশরের দিন এসবকে আগুনে গরম করে তাদের কপাল চেহারা ও দেহের নানা অংশে ছ্যাঁকা দেয়া হবে।’ হাদিসে এসেছে, ‘সম্পদ সাপের আকারে তাদের গলায় ঝুলবে আর ছোবল দেবে; বলবে, আমরা তোমার সে সম্পদ, যা তুমি পাওনাদার ও বঞ্চিতদের না দিয়ে কুক্ষিগত করে রেখেছিলে।’

জাকাত আল্লাহর দুনিয়ায় আল্লাহর প্রতিনিধিকে টাকা দেয়া তথা আল্লাহকেই টাকা দেয়ার মতো। আল্লাহ এ মর্মে বলেছেন- ‘তোমরা যা কিছু আল্লাহর পথে ব্যয় করো এসবই আল্লাহর কাছে সুরক্ষিত থাকে। আল্লাহ এসব বাড়াতে থাকেন। বহুগুণে বৃদ্ধির পর সেসব তোমাদের ফিরিয়ে দেয়া হবে। আল্লাহ মানুষের ছোট-বড় কোনো আমলই বিনষ্ট হতে দেন না।’ এ ছাড়া জাকাত দানের মাধ্যমে এক মুসলমানের প্রতি অন্য মুসলমানের হক আদায় হয়ে যায়। গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটে। সমাজের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ বৃদ্ধি পায়, দরিদ্রতা দূর হয়।

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, হাশরের দিন আল্লাহ বলবেন, ‘আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম; তোমরা আমাকে খেতে দাওনি। আমি রুগ্ন ছিলাম; তোমরা আমার চিকিৎসা করোনি। আমি অভাবী ছিলাম, তোমরা আমাকে সাহায্য করোনি ইত্যাদি। মানুষ তখন বলবে- হে আল্লাহ, আপনি সর্বশক্তিমান ও সবার স্রষ্টা। আপনি কিভাবে ক্ষুধার্ত, অভাবী ও রুগ্ন হতে পারেন? তখন আল্লাহ বলবেন, আমার অভাবী ও দুঃখী বান্দারা তোমার কাছে গিয়েছিল কিন্তু তুমি তাদের কিছুই দাওনি। যদি দিতে, তাহলে তা আমাকেই দেয়া হতো। এর বিনিময় আজ তোমরা আমার কাছে পেতে। হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, সমস্ত সৃষ্টি আল্লাহর বৃহৎ পরিবার। সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি সেই, যে মানুষের বেশি উপকার করে। যদি কেউ নিজের কোটি টাকার বাড়িঘর, খেত-খামার, নগদ টাকা কাউকে দিয়ে বলে, আমার কিছু লোক আছে তাদের বছর শেষে তোমার প্রবৃদ্ধিশীল অংশ থেকে শতকরা আড়াই ভাগ দিয়ে দিও।’ আল্লাহ বলেন- ‘এটি আমি মালিকের অংশ। তাহলেই তোমাকে দেয়া আমার সব কিছুই তোমার জন্য বৈধ, স্থায়ী ও পবিত্র। আমার নিরাপত্তা ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত তুমি পেয়ে যাবে। এরপর যদি অকৃতজ্ঞ এ লোকটি সব কিছু ভোগ করা সত্ত্বেও মালিকের ক্ষুদ্র অংশটি তার লোকদের না দেয়, তাহলে সে বিশ্বের সব চেয়ে বড় অকৃতজ্ঞ; সে শাস্তি ও বিচারের যোগ্য।’

জাকাত দিলে সম্পদ বাড়ার নমুনা : একবার হজরত ইমাম জাফর সাদিক তার পুত্রকে বললেন, তোমার কাছে খরচ করার মতো কী আছে? পুত্র বললেন, ৪০ দিরহামের মতো। ইমাম সাহেব বললেন, এটি দান করে দাও। পুত্র বললেন, আব্বা, আপনি ভেবে বলছেন তো? সংসারের ব্যয়নির্বাহের জন্য এ কয়টি দিরহামই আমাদের আছে। দিয়ে দিলে কাল থেকে খরচ করার মতো একটি কপর্দকও থাকবে না। ইমাম জাফর সাদিক বললেন, তুমি কি জানো না যে, প্রত্যেক জিনিসের যেমন একটি চাবিকাঠি থাকে, তেমনি সমৃদ্ধির চাবিকাঠি হচ্ছে দান? তুমি দিয়ে দাও। দেখো, আল্লাহই সম্পদে বরকত দেবেন। তা-ই হলো। এর মধ্যে ১০ দিনও যায়নি, তার আগেই অন্য একটি কার্যোপলক্ষে জাফর সাদিক ও তার পুত্র চার হাজার দিনার পেলেন!

ইমাম রাইদা তার দাসকে একবার জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আজ আল্লাহর পথে কিছু দিয়েছ? সে বলল, না তো। ইমাম রাইদা বললেন, তাহলে তুমি কী করে আশা করো যে, আল্লাহ তোমাকে দেবেন? আল্লাহ বলছেন- ‘তোমরা অন্যের জন্যে যা কিছু ব্যয় করবে, তিনি তার প্রতিদান দেবেন। তিনিই শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।’ (সূরা সাবার, আয়াত-৩৯) একইভাবে আল্লাহ বলেন- ‘হে মানুষ! ধনসম্পত্তি বৃদ্ধির জন্য তোমরা যে সুদী বিনিয়োগ করো, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায় না। কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য শুদ্ধচিত্তে যা দান করো, তা-ই বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।’ (সূরা রুম, আয়াত-৩৯)।

উপরের আলোচনায় প্রমাণিত যে, জাকাত দিলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়। যখনি নিসাব পরিমাণ সম্পদের এক বছর পূর্ণ হয় তখনই জাকাত দেয়া কর্তব্য। তবে রমজানে দেয়ায় সওয়াব কমপক্ষে ৭০ গুণ করা হয়। এতে গরিব অসহায়রা রমজানের রোজা স্বাচ্ছন্দ্যে আদায় ও তাদের সন্তান-সন্ততি নিয়ে ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে। এ ছাড়াও দেশের এই সঙ্কটকালে অবশ্যই অভাবীদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও এ মুহূর্তে মুখ বুজে ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করছে। সুতরাং এখন জাকাতের অর্থ নিয়ে হাত বাড়ালেই অনেক অনাহারীর মুখে অন্ন জুটবে। কারো একার পক্ষে এ সঙ্কট মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। নিজের সম্পদ থেকে নিজের দেশকে এবং শ্রেষ্ঠ মানবতাকেই গুরুত্ব দিতে হবে বেশি। সুতরাং আসুন, আমরা সবাই সঠিকভাবে জাকাত আদায় করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করি। আল্লাহ আমাদের সম্পদ বৃদ্ধি করে দেবেন, ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply